সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩২ বছর নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যানশিয়াল করপোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থাসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ করা ন্যায়সঙ্গত ও জরুরি। সংসদ বর্তমানে ভেঙে যাওয়া অবস্থায় রয়েছে এবং রাষ্ট্রপতির কাছে এটি সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে যে, তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি নিম্নলিখিত অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করেছেন।
এই অধ্যাদেশ "সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যানশিয়াল করপোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থাসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ অধ্যাদেশ, ২০২৪" নামে অভিহিত হবে এবং এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, অন্য কোনো কার্যরত আইন, বিধিমালা, প্রবিধানমালা, আদেশ বা নির্দেশ যাই থাকুক না কেন, এই অধ্যাদেশের বিধানাবলী সর্বোচ্চ প্রাধান্য পাবে। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস)-এর সব ক্যাডারের চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিসিএস-এর আওতার বাইরে থাকা অন্যান্য সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রেও এই সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর হবে। স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত এবং সংবিধিবদ্ধ সংস্থাগুলোর সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে যেখানে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বা ৩২ বছর উল্লেখ ছিল, সেখানে সর্বত্র এই সীমা ৩২ বছর প্রতিস্থাপিত হবে। তবে প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়োগের ক্ষেত্রে তাদের নিজস্ব নিয়ম বহাল থাকবে।
এছাড়াও বলা হয়েছে, এই অধ্যাদেশ কার্যকর করতে কোনো অস্পষ্টতা বা অসুবিধা দেখা দিলে সরকার সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা প্রয়োজনীয় সমন্বয় করতে পারবে, যাতে এই অধ্যাদেশের বিধানের সঙ্গে সঙ্গতি রক্ষা হয়।
0 Comments