বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় দিনদুপুরে বাসায় ঢুকে গৃহবধূ উম্মে সালমা (৫০) কে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ডিপ ফ্রিজে রাখার ঘটনায় নতুন তথ্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দুপচাঁচিয়া থানা-পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের মধ্যে একজন আজ শুক্রবার বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন চারতলার ভাড়াটে মাবিয়া সুলতানা (৪১), মোসলেম উদ্দিন (৩২), এবং সুমন রবিদাস (৩০)। পুলিশ জানায়, তাঁরা ডাকাতির উদ্দেশ্যে উম্মে সালমার বাসায় প্রবেশ করেন এবং পরে তাঁকে হত্যা করেন। গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই হত্যাকাণ্ডের সত্যতা স্বীকার করেছেন বলে দাবি করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সুব্রত কুমার সিংহ।
এদিকে, মাবিয়া সুলতানার বাসা থেকে উম্মে সালমার ফ্ল্যাটের চাবি এবং মোসলেম উদ্দিনের বাড়ি থেকে ইন্টারনেট রাউটার জব্দ করা হয়েছে। আদালত সূত্রে জানা যায়, মোসলেম উদ্দিন তাঁর স্বীকারোক্তিতে উল্লেখ করেন, মাবিয়া সুলতানার বাসায় বিভিন্ন লোকের যাতায়াত নিয়ে উম্মে সালমা আপত্তি করতেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মাবিয়া সুমন রবিদাসের সঙ্গে মিলে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ঘটনার দিন উম্মে সালমাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ডিপ ফ্রিজে রাখা হয়।
প্রসঙ্গত, গত রোববার দুপুরে দুপচাঁচিয়ার জয়পুরপাড়া এলাকার ‘আজিজিয়া মঞ্জিল’-এর তিনতলার ফ্ল্যাট থেকে উম্মে সালমার লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি দুপচাঁচিয়া ডিএস ফাজিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ আজিজুর রহমানের স্ত্রী। এর আগে র্যাব উম্মে সালমার ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমানকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করেছিল।
0 Comments